Skip to main content

কোথায় থাকবেন ট্র্যাভেল করলে?

ট্র্যাভেল করার সময়  কোথায় রাত কাটাতে বা থাকতে ভালো লাগে ? এক কথায়, গাছের তলায় বা খোলা মাঠে, ঝিকিমিকি জোনাকির আলোয়, পাস দিয়ে কুলকুল করে নদী বয়ে যাচ্ছে, একটু দূরে ঝর্ণার জলের আওয়াজ... কিন্তু এভাবে থাকাটা খুবই  কম হয়, নানা কারণে জাস্ট হয় না হোষ্টেল, গেস্ট হাউস, হোটেল না রিসর্ট, অপসন প্রচুর আছে, তবে সব চেয়ে পছন্দ হোষ্টেল, কারণ :


) ব্রডব্যান্ডের স্পিড ভালো, তাই অফিসের কাজ করা যায়

) খুব কম খরচ, ৩০০ - ৮০০ টাকা দিনের ভাড়া

) নিরাপদ নিরাপত্তা বেশি : আপদ এখনও পাইনি এখানে। 

) অনেক বন্ধু তৈরি হয় আর মানুষের সাথে পরিচয় হবার সুযোগ বেশি   একটা বাড়ি-বাড়ি ভাব

) রুম শেয়ার করে থাকতে হয় বলে, লুকোনো ক্যামেরা থাকে না

) Prime location | একটা স্কুটি /সাইকেল জোগাড় করে আশেপাশে সব ঘোরা  হয়ে যায় |

) ঘরের cozy নুক : বিন ব্যাগ বা কুশনে ঠাসা গদিওয়ালা চায়ের বা বাহারী রঙের চাদরে মোড়া একখানা তোষক, দোলনা... এই সব টুকিটাকি ভালো লাগার জিনিস হাতের কাছে পাই বলে, আর কি  চাই !

) সব জায়গায় একটা কমন রুম থাকে, সকাল দশটায় চেক আউট করেও রাত বারোটা অব্দি আরামসে থাকা যায়

) আমি বহুদিনের জন্য যাই বলে জামা কাপড় কাচতে এবং ইচ্ছে মতো রান্না করে খেতেও পাই (বাসন, ওভেন সব থাকে, শুধু নিজের বাজারটা করতে হয়

ঘর, বারান্দা মানে পুরো বাড়ির ডেকোরেশন গুলো আমার বড্ড ভালো লাগে, ছিমছাম... টায়ার, প্লাষ্টিক, পুরোনো ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র  রিসাইকেল করে বানানো কত কিছু

) সব খানেই একটা বা দুটো পোষ্য থাকে 

১০) কোথায় যাবেন, কি খাবেন, কি দেখবেন তা জানা যায়

তবে কিছু অসুবিধেও আছে, আমার নয়, বলে রাখছি, ওপরে লুক্রেটিভ পয়েন্টস পড়ে  কেউ হয়তো চলে গেলেন, তাই  : 

) প্রাইভেসি বলে যে জিনিসটা আমরা জানি, সেটার অভাব  আছে, বিবাহিত/ অবিবাহিত দম্পতিদের জন্য হোষ্টেল একেবারেই নয় তবে কিছু হোস্টেলে দুজন থাকার ঘর পাওয়া যায়

)নিজের এঁঠো বাসন নিজেকে মাজতে হবে (কোথাও - কোথাও ),  বাথরুম অনেক সময় নিজেকে পরিষ্কার করতে হতে পারে, সুতরাং কাজ করার অভ্যেস না থাকলে বা কাজ করার ইচ্ছে না থাকলে, অন্য কোথাও থাকবেন কারণ, আপনার জন্য বাকিদের অসুবিধে হবে, অভিজ্ঞতা অনেক আছে আমার

স্পেসিফিক জায়গা বলছি না, তবে কেরালা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হিমাচল, কর্ণাটক, দিউ, উত্তরাখন্ড, গোয়া, গুজরাট, হায়দরাবাদ, বারাণসী ... অনেক অনেক হোস্টেল আছে তুলনামূলক পশ্চিম বঙ্গে কলকাতা, ডুয়ার্স ( খানা) আর শান্তিনিকেতন ( খানা) ছাড়া কোথাও হোস্টেল আছে আমার জানা নেই, কেউ জানলে প্লিজ মেনশন করে দিন

কিছু হোস্টেলের নাম দিলাম যেখানে থেকেছি : Zostel, HosteLaVie, Sturmfrie, Hostalgic, Oldquater, Freebirds, YWCA, Dream House


গেস্ট হাউস :


) খুব ভালো কিন্তু অন্য দের  সাথে পরিচয় হবার সুযোগ কম

) বাড়ির তৈরি ওই রাজ্যের বা জায়গার খাবার আগুমবেতে কস্তুরী আকার বাড়িতে কাশায়াম খেয়েছিলাম

) অযথা কিছু  বিরক্তিকর নিয়ম কানুন তৈরি করে, যেটা আমার সবচেয়ে অপছন্দ, নিয়মের চোটে পরেরদিন ভোরেই অনেক জায়গা থেকে বেরিয়ে গেছি 


হোটেল আর রিসোর্ট


) খরচ অনেক বেশি

আর কেমন যেন প্রভু-ভৃত্য সম্পর্ক

) দামী চার-পাঁচ-সাত তারকা খচিত হোটেল গুলোতে, ওই আবছা আলো, ডুবে যাওয়া বিছানা, নীল মেঝের সুইমিং পুল, ফোন করে " আমায় খাবার দাও " নতুবা ডাইনিং টেবিলে ভালো করে বসো, কেটে কেটে চামচ দিয়ে খাও... সব মিলিয়ে একটা যেন একটা অন্য জগৎ, জাস্ট পোষায় না  

) পাশের ঘরগুলোতে যারা থাকে তাদের সাথে মুচকি হাসি বা গোটাকয়েক হাই /হ্যালো আর খুব বেশি হলে, 'আমি এই করি' আর 'ওই করি'... ব্যাস কথা শুরুতেই শেষ |


Zostel @Sonar Kella, Jaisalmer

Zostel @udaipur

HosteLaVie @Varanasi

HosteLaVie @Varanasi

Zostel @Jaipur

Sturmfrie @Gokarna

Dream House, @Diu


Comments

Popular posts from this blog

কদম ফুল - Kadam phool- common burflower

বর্ষাকালের সিগনেচার বলা হয় কদম ফুলকে , আরেক নাম নীপ , " এসো নীপ বনে ... " কবিতা তো জানাই আছে যাতে বর্ষা মানেই নীপ ( কদম্ব ও বলে অনেক রাজ্যে ) ।   খুব পরিচিত এই ফুল , নিটোল গোলাকার , প্রথমে সবুজ , পরে লাল থেকে টকটকে কমলা রঙের সাথে অসংখ্য লম্বা সাদা ফ্রিলস পুরো ফুল জুড়ে ।   হাতে নিলে বোঝা যায় বেশ একটু ভারী , মানে কাউকে ঢিল ছুড়ে মারার মতো আর ওই সাদা ফ্রিলস গুলো এমনিতে নরম কিন্তু ছুড়লে হুঁহুঁ , লাগবে বেশ। খুব মিষ্টি একটা গন্ধ আছে , গাছের পাস দিয়ে গেলেই টের পাওয়া যায় ফুল ফুটেছে   ( কদম তলায় কে ?) । প্রচুর ফ্র্যাংগনান্স বা আতর তৈরি হয় এই গন্ধের। আমাদের দেশের লিপিগুলোতে কদম ফুলের ও গাছের নাম আছে আর আমাদের পৌরাণিক কথকথায় কদম ফুলের বড়ো মুখ্য একটা জায়গা আছে।   ভারতের উত্তর দিকে , ভগবৎ পুরান থেকে শুরু রাধা ও কৃষ্ণের দুজনের জীবনেই   কদম ফুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।   বৃন্দাবন - মথুরায় , গোবর্দ্ধন পাহাড়ের দিকে   প্রচুর কদম গাছ , এই সময় মানে বর্ষাকালে একবার রাধে - রাধে

রাগের ছবি

১ ) মেঘ মল্লার : মেঘ ( সংস্কৃত বুৎপত্তি ) মল্লার একটি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় মৌসুমী   রাগ।   কথায় বলে এই রাগ বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ করে যেখানে গাওয়া হয় সেখানে। ' মেঘ মল্লার ' রাগ মেঘের অনুরূপ যার মধ্যে মল্লারের আভা রয়েছে। মল্লার পরিবারের অন্যান্ন রাগগুলি হলো : মেঘ , মিয়াঁ কি মল্লার , গৌড় মল্লার , রামদাসী মল্লার , ধুলিয়া মল্লার ইত্যাদি। ঠাট : কাফি। আমাজন প্রাইমের ' বন্দিশ ব্যান্ডিট ' ওয়েব সিরিজের লাস্ট এপিসোডে ফরিদ হাসান আর মোহাম্মদ আমান মেঘ মল্লার গেয়েছে এবং তাতে বৃষ্টি এসেছে। শঙ্কর - এহসান - লয় এই   গানের দ্বায়ীত্বে ছিলেন। একটা আর্টিকলে তাদের কথা পড়লাম যে , যোধপুরে ২০২০ - র এপ্রিল মাসে এই গানটা যেদিন পুরো গাওয়া হয়েছিল সত্যি বৃষ্টি পড়েছিল , যা কোনোদিনও হয় নি নাকি। ২ ) গৌড় মল্লার :   হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি রাগ যা মল্লারের বৈশিষ্ট্য বহন করে আর এই   ' গৌড় ' নামের রাগটি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে , মানে সে রকম করে কেউ গায় না । মল্লার পরিবারের

My days in the Gunj

এখানে সকাল হয় না, সকাল আসে... কার লেখা, কোন উপন্যাস, অনেকেই জানেন।  গল্পটা এরকম... ডিসেম্বরে হুট্ করে বাইক নিয়ে কোথাও যাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু থাকার জায়গা পেতে চাপ হয়। যেমন এবার হোলো ! ম্যাপ খুঁজে খুঁজে হোমস্টে দেখছি আর ফোন করে যাচ্ছি, ' নাহঃ, ওই সময় ফাঁকা নেই', বেশ কয়েক জায়গা থেকে এক উত্তর পেয়ে ভাবছি কি করবো ! তখনই আমায়রা হোমস্টে-র ওনার রাজ কিশোর গুপ্তা রিং ব্যাক করে 'ম্যাক গার্ডেন-র' হোমস্টে-র কেয়ার টেকার মনজয় দার ফোন নম্বর দিলেন। কল করে জানালাম, পরের দিন যাচ্ছি, একটা ঘরই আমার লাগবে। দু-তিন থাকবো বলাতে বললো, দুদিনই হবে তিন নম্বর দিন অলরেডি বুকড। সাত একর জমির এক কোণে এক কোলোনিয়াল বিল্ডিং, মানে টালির ছাদের কুঁড়েঘর। আম বাগানে ঘেরা, বিরাট এক লন সামনে। গেটের ডানদিকে আলু, সর্ষের খেত। টিয়া, ধূসর রঙের ধনেশ চোখের সামনে নেচে বেড়াচ্ছে। বাড়ির ভেতরে তিনটে পার্টিশন, প্রথম দরজা দিয়ে ঢুকেই বসার জায়গা আর দুই প্রান্তে দুটো ঘর। ওই জায়গা পেরিয়ে পেড়িয়ে আবার আর একটা দরজা ও দুই প্রান্তে ডান দিকে-বাঁদিকে দুটো ঘর। মাঝের বসার জায়গায় একটা ফায়ারপ্লেস। শীতকালে গেলে দিব্বি জ্বালিয়ে রাত কাটানো য