Skip to main content

My days in the Gunj

এখানে সকাল হয় না, সকাল আসে... কার লেখা, কোন উপন্যাস, অনেকেই জানেন। 

গল্পটা এরকম... ডিসেম্বরে হুট্ করে বাইক নিয়ে কোথাও যাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু থাকার জায়গা পেতে চাপ হয়। যেমন এবার হোলো ! ম্যাপ খুঁজে খুঁজে হোমস্টে দেখছি আর ফোন করে যাচ্ছি, ' নাহঃ, ওই সময় ফাঁকা নেই', বেশ কয়েক জায়গা থেকে এক উত্তর পেয়ে ভাবছি কি করবো ! তখনই আমায়রা হোমস্টে-র ওনার রাজ কিশোর গুপ্তা রিং ব্যাক করে 'ম্যাক গার্ডেন-র' হোমস্টে-র কেয়ার টেকার মনজয় দার ফোন নম্বর দিলেন। কল করে জানালাম, পরের দিন যাচ্ছি, একটা ঘরই আমার লাগবে। দু-তিন থাকবো বলাতে বললো, দুদিনই হবে তিন নম্বর দিন অলরেডি বুকড।

সাত একর জমির এক কোণে এক কোলোনিয়াল বিল্ডিং, মানে টালির ছাদের কুঁড়েঘর। আম বাগানে ঘেরা, বিরাট এক লন সামনে। গেটের ডানদিকে আলু, সর্ষের খেত। টিয়া, ধূসর রঙের ধনেশ চোখের সামনে নেচে বেড়াচ্ছে। বাড়ির ভেতরে তিনটে পার্টিশন, প্রথম দরজা দিয়ে ঢুকেই বসার জায়গা আর দুই প্রান্তে দুটো ঘর। ওই জায়গা পেরিয়ে পেড়িয়ে আবার আর একটা দরজা ও দুই প্রান্তে ডান দিকে-বাঁদিকে দুটো ঘর। মাঝের বসার জায়গায় একটা ফায়ারপ্লেস। শীতকালে গেলে দিব্বি জ্বালিয়ে রাত কাটানো যায়। এই চারটে হলো থাকার ঘর। পরে আর একটা দরজা সেখানে খাবার ঘর, ডাইনিং টেবিলে ১২ জন তো বসতে পারবেই। এই হলো বাড়ির বর্ণনা, তবে বাড়ির বয়সটা কি আন্দাজ করা যাচ্ছে ? ১৯৩৫-১৯৩৮ সালে বাড়িটি তৈরি হয়, ছাদের বসানোর টালি সুদূর কলিকাতা থেকে বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। তিনি এক এংলো-ইন্ডিয়ান ছিলেন। বাবা ব্রিটিশ সৈন্য, মা বাঙালি। বাড়িটি তাই তৈরি ইউরোপিয়ান ধাঁচে। বাড়ি প্লাস্টার হয়েছে তখনকার মতো চুন-আঠা-শাঁখের গুঁড়ো দিয়ে। এখন অবশ্য পুরো বাড়ি ভেঙেচুরে আবার তৈরি হয়েছে তবে মূল কাঠামো একই রয়েছে।

বুদ্ধদেব গুহ এই বাড়িটি কিনেছিলেন ও বছরের কয়েকমাস এখানে কাটাতেন। 'একটু উষ্ণতার জন্য ' এই বাড়ির আম বাগানে বসেই লেখা ওনার। পরবর্তীকালে বাড়ির মালিকানা অপর্ণা সেনের হাতে যায়। তাও প্রায় চল্লিশ বছর আগে উনিও বাড়িটি বিক্রি করে দেন। এখন মাহারাষ্টের এক কোম্পানির নামে বাড়িটি কেনা আছে। 'এ ডেথ ইন টি গঞ্জ ' সিনেমাটি এই বাড়িতে, আর সামনের ওই আম বাগানে তৈরি হয়।

সামনের ছুটিতে ২-৩ দিন দিব্বি কাটিয়ে আসতে পারেন। গরমে গিয়ে আম চেখে দেখতে পারেন আর শীতে ফায়ারপ্লেস জ্বেলে রাতকাটানোর সময়, বাইরে শেয়ালের শোরগোল শুনতে পাবেন, অন্ধকার করে বেরোলে কয়েকজোড়া জ্বলজ্বলে চোখ চোখে পরবে বটে। ভোরের দিকে তারা ' একটু উষ্ণতার জন্য ' দোরগোড়ায় এসে বসেও থাকে বৈকি।

মনজয়দা স্বপরিবারে ২৪ বছর ধরে এই বাড়ির দেখাশোনা করেছেন।

Few contacts for stay/accommodation at McCluskiegank:

Mac Garden( Manjay ) - 9162944376
Amyra Homestay - 9431901590
Gordon Homestay - 9835770679, Bobby Gordon the owner of the homestay is an Anglo-Indian


















Ret. Airforce person Mr. Raj Kishor Gupta with his wife Kabita ant his Amyra homestay.






 

Comments

Popular posts from this blog

কদম ফুল - Kadam phool- common burflower

বর্ষাকালের সিগনেচার বলা হয় কদম ফুলকে , আরেক নাম নীপ , " এসো নীপ বনে ... " কবিতা তো জানাই আছে যাতে বর্ষা মানেই নীপ ( কদম্ব ও বলে অনেক রাজ্যে ) ।   খুব পরিচিত এই ফুল , নিটোল গোলাকার , প্রথমে সবুজ , পরে লাল থেকে টকটকে কমলা রঙের সাথে অসংখ্য লম্বা সাদা ফ্রিলস পুরো ফুল জুড়ে ।   হাতে নিলে বোঝা যায় বেশ একটু ভারী , মানে কাউকে ঢিল ছুড়ে মারার মতো আর ওই সাদা ফ্রিলস গুলো এমনিতে নরম কিন্তু ছুড়লে হুঁহুঁ , লাগবে বেশ। খুব মিষ্টি একটা গন্ধ আছে , গাছের পাস দিয়ে গেলেই টের পাওয়া যায় ফুল ফুটেছে   ( কদম তলায় কে ?) । প্রচুর ফ্র্যাংগনান্স বা আতর তৈরি হয় এই গন্ধের। আমাদের দেশের লিপিগুলোতে কদম ফুলের ও গাছের নাম আছে আর আমাদের পৌরাণিক কথকথায় কদম ফুলের বড়ো মুখ্য একটা জায়গা আছে।   ভারতের উত্তর দিকে , ভগবৎ পুরান থেকে শুরু রাধা ও কৃষ্ণের দুজনের জীবনেই   কদম ফুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।   বৃন্দাবন - মথুরায় , গোবর্দ্ধন পাহাড়ের দিকে   প্রচুর কদম গাছ , এই সময় মানে বর্ষাকালে একবার রাধে - রাধে

রাগের ছবি

১ ) মেঘ মল্লার : মেঘ ( সংস্কৃত বুৎপত্তি ) মল্লার একটি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় মৌসুমী   রাগ।   কথায় বলে এই রাগ বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ করে যেখানে গাওয়া হয় সেখানে। ' মেঘ মল্লার ' রাগ মেঘের অনুরূপ যার মধ্যে মল্লারের আভা রয়েছে। মল্লার পরিবারের অন্যান্ন রাগগুলি হলো : মেঘ , মিয়াঁ কি মল্লার , গৌড় মল্লার , রামদাসী মল্লার , ধুলিয়া মল্লার ইত্যাদি। ঠাট : কাফি। আমাজন প্রাইমের ' বন্দিশ ব্যান্ডিট ' ওয়েব সিরিজের লাস্ট এপিসোডে ফরিদ হাসান আর মোহাম্মদ আমান মেঘ মল্লার গেয়েছে এবং তাতে বৃষ্টি এসেছে। শঙ্কর - এহসান - লয় এই   গানের দ্বায়ীত্বে ছিলেন। একটা আর্টিকলে তাদের কথা পড়লাম যে , যোধপুরে ২০২০ - র এপ্রিল মাসে এই গানটা যেদিন পুরো গাওয়া হয়েছিল সত্যি বৃষ্টি পড়েছিল , যা কোনোদিনও হয় নি নাকি। ২ ) গৌড় মল্লার :   হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি রাগ যা মল্লারের বৈশিষ্ট্য বহন করে আর এই   ' গৌড় ' নামের রাগটি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে , মানে সে রকম করে কেউ গায় না । মল্লার পরিবারের